ঢাকা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট
এটি সবচেয়ে পুরনো এবং সরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ১৯৫৫ সালে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ৪টি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ারিং কোর্সের (সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, ম্যাকানিকেল এবং পাওয়ার) প্রথম বছরের প্রশিক্ষন কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এখানে ১১টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রদান করা হয়ে থাকে।
ঠিকানা এবং অবস্থান
ঢাকা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট
শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ স্মরনি
তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮।
ওয়েব সাইট: http://dpi.gov.bd/
ডিপ্লোমা কোর্সের বিষয়সমূহ
প্রতিষ্ঠানটি ১১টি বিষয়ের উপর ডিপ্লোমা কোর্স কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বিষয়গুলো নিম্নোরুপ:
- আর্কিটেকচার
- অটোমোবাইল
- কেমিক্যাল
- সিভিল
- কম্পিউটার
- ইলেক্ট্রিক্যাল
- ইলেক্ট্রোনিক্স
- এনভায়রনমেন্ট
- ফুড
- মেকানিক্যাল
- রিফ্রিজারেশন এন্ড এয়াকন্ডিশন
কোর্সের মেয়াদ
ডিপ্লোমা কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর। কোর্স শেষ করতে ৪ বছর ৩ মাস লাগে। ট্রেডকোর্সে সময় লাগে ৪ বছর ৬ মাস।
ভর্তি যোগ্যতা
এখানে ভর্তির জন্য এসএসসি/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং জিপিএ নম্বর হতে হবে ৩.৫। ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি অথবা ইংরেজী বিষয়ে ন্যূনতম ৩ নম্বর পেতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
- ভর্তির জন্য প্রথমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্র ওয়েবসাইটে বা অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হয়। আবেদনপত্রের মূল্য ২০০ টাকা। টেলিটক মোবাইল থেকে আবেদনপত্রের টাকা পরিশোধ করা যায়।
- আবেদনপত্রের সাথে নম্বরপত্রের অনুলিপি, প্রসংশাপত্রের অনুলিপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সত্যায়িত), আবেদনফর্মের রশিদ নম্বর বা ট্র্যাক নম্বর জমা দিতে হয়।
ভর্তি প্রক্রিয়া
- কোর্সসমূহের বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে সুবিধামতো সময়ে সকাল বা বিকালে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়।
- শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্দিস্ট কোটা অনুসরণ করা হয়ে থাকে। ছাত্রীদের জন্য কোটা ৫%, উপজাতিদের জন্য কোটা ২%, মুক্তিযোদ্ধা বা তার সন্তানদের জন্য কোটা ২% এবং ভোকেশনাল কোর্সে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থির জন্য কোটা ১৫%।
- দৈনিক পত্রিকায় পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করা হয়। এছাড়াও অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং মেধা অনুসারে শিক্ষার্থীগনকে ভর্তি করা হয়। অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির জন্য ডাকা হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করতে হয়। এই জন্য ন্যূনতম ১৫ থেকে ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হয়।
- ভর্তি ফি ১,২০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকা।
কোর্সের খরচ
এটি সরকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারনে এখানে পরিচালিত কোর্সের খরচ অনেক কম। কোর্স সম্পূর্ণ করতে একজন শিক্ষার্থীর খরচ পড়বে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ক্লাশের সময়সূচী
এখানে দুটি শিফটে ক্লাসগুলো হয়। সাধারনত সকাল প্রথম শিফটটি সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় শিফট বেলা ২টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ এবং সরকারী ছুটির দিনগুলোতে ক্লাশ বন্ধ থাকে।
আবাসিক সুবিধা
দূরবর্তী এবং গরীব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য রয়েছে ৪টি হল। ৩টি হল ছাত্রদের এবং ১টি হল ছাত্রীদের। হলগুলো কলেজ থেকে ২০-৩০ গজ দুরে অবস্থিত। এখানে শিক্ষার্থির জন্য দুইবেলা খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে, খরচ পড়ে জনপ্রতি মাসিক ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা।
ক্যান্টিন
কলেজটি নিজস্ব ক্যান্টিন রয়েছে। এটি কলেজ ভবনটির নিচ তলায় উত্তরদিকে অবস্থিত।
শিক্ষক এবং শিক্ষিকা
এখানে স্থায়ী এবং অস্থায়ী এই দুধরনের শিক্ষক এবং শিক্ষিকা রয়েছেন। স্থায়ী ভিত্তিতে রয়েছেন ৩৬ জন এবং অস্থায়ী ভিত্তিতে রয়েছেন ২৮ জন।
লাইব্রেরী
কলেজ ভবনের দ্বিতীয় তলায় লাইব্রেরী রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের সুবিধার্থে বিষয়ভিত্তিক ৪৫০০ বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে। লাইব্রেরী থেকে বই নিতে শিক্ষার্থীকে কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। এক সেমিস্টার পর্যন্ত বই নিজের কাছে রাখা যায়। সেমিস্টার শেষে বই ফেরত দিতে হয়।
প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব
শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিকেল ক্লাশের জন্য প্রতিটি বিভাগে দুটি করে ল্যাব রয়েছে।এখানে ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি এবং কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।
ড্রেস কোড
এখানে শুধুমাত্র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রেসকোড রয়েছে। ছাত্রদের জন্য সাদা সার্ট এবং কালো প্যান্ট এবং ছাত্রীদের জন্য সাদা জামা, কালো পায়জামা এবং কালো ক্রস বেল্ট নির্ধারিত।
ক্লাব
এখানে রোভার স্কাউট নামে একটি ক্লাব রয়েছে। এখানে বিভিন্ন সমাজ কল্যাণ মূলক কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে এই ক্লাবটি সহযোগীতা করে থাকে। ক্লাবের সদস্য হতে হলে ফরম সংগ্রহ করে ইন্টারভিউ দিতে হয়।
অডিটোরিয়াম
এখানে নিজস্ব অডিটোরিয়াম রয়েছে। এখানে বিভিন্ন সময়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়।
তথ্য সুত্র :অনলাইনঢাকা.কম |