প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

অবস্থান:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের তথা পূর্ব বাংলার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালের ১লা জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্য়ক্রম শুরু হয়। বঙ্গভঙ্গের সময় থেকে পূর্ব বঙ্গে মুলিম সমাজে যে নবজাগরণ শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তারই ফল। রাজধানী ঢাকার একেবারে কেন্দ্রস্থলে আবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। এর পশ্চিমে ইডেন কলেজ, পূর্বে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, এর উত্তর দিকে নিউ এলিফ্যান্ট রোড এবং দক্ষিণে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
বর্ণনা:
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত দেশের সর্বপ্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান বিদ্যাপিঠ। এটি ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে মাত্র ৩টি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক ও ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠাকালে শিক্ষার্থীদের জন্য ৩টি আবাসিক হল ছিল। বর্তমানে ১৩টি অনুষদ (ভর্তি কার্যক্রম চলে ১০টি অনুষদের মাধ্যমে), ৭৭টি বিভাগ, ১১টি ইনস্টিটিউট, ৩টি হোস্টেল সহ ৫১টি গবেষণা সেন্টার রয়েছে। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ২০ টি আবাসিক হল আর ৩ টি হোস্টেল। ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৩৭,০৬৪ জন ও শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ১৮০৫ জনে উত্তীর্ণ হয়েছে।
দেশের ক্রান্তিকালে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল তৎপর। এখনও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। গত ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টি উদযাপন করে প্রতিষ্ঠার ৯৪ বছর।
কর্মকতা ও কর্মচারীর সংখ্যা
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকরতার প্রায় সংখ্যা ১০০০ জন, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা এক হাজার ৯৫ জন এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা দুই হাজার ৪৩৫ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকরতার প্রায় সংখ্যা ১০০০ জন, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা এক হাজার ৯৫ জন এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা দুই হাজার ৪৩৫ জন।
শিক্ষার্থী
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা (২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত) ৩৭ হাজার ৬৪ জন। এছাড়া পিএইচডি ডিগ্রিতে ছাত্রছাত্রী রয়েছে এক হাজার ৮৯ জন। এমফিল ডিগ্রিরত রয়েছেন এক হাজার ৬২০ জন। এ ছাড়া এযাবৎ কাল পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন এক হাজার ২৬২ ছাত্রছাত্রী এবং এমফিল শেষ করেছেন এক হাজার ২১৭ জন। প্রতি বছর এখানে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের থাকার জন্য রয়েছে ২০টি আবাসিক হল ও তিনটি হোস্টেল।
অধিভুক্ত সংগঠন ও অঙ্গসংগঠন:
এখানে রয়েছে ২৮১টি ট্রাস্ট ফান্ড রয়েছে, অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে ৯১টি।
ডিগ্রি সমূহ:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, এমফিল, মাস্টার্স ও অনার্স ডিগ্রি দেওয়া হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ডিপ্লোমা ডিগ্রিও দিয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, এমফিল, মাস্টার্স ও অনার্স ডিগ্রি দেওয়া হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ডিপ্লোমা ডিগ্রিও দিয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস:
সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান প্রস্তাবক। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্ত্বার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্রিটিশ ভারতে তৎকালীন শাসকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তে পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতিবাদের ফসল হচ্ছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক ইতিহাসবিদ মতে বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে লর্ড লিটন বলেছিলেন ‘স্পেল্নডিড ইম্পিরিয়াল কমপেনসেশন’। পূর্ববঙ্গ শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এ অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হয়, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে।
১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইসরয় এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার আর নাথানের নেতৃত্বে ডি আর কুলচার, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নবাব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দ চন্দ্র রায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ এ টি আচির্বল্ড, জগন্নাথ কলেজের অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা মাদরাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এইচ এইচ আর জেমস, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি ডব্লিউ পিক এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ সতীশচন্দ্র আচার্য।
১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাস করে ‘দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০’। নাথান কমিশন রমনা অঞ্চলে ৪৫০ একর জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এই জায়গায় তখন ছিল ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট হাউস, সেক্রেটারিয়েট ও গভর্নমেন্ট প্রেসসমূহ।
শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ে। কলকাতার তৎকালীন একটি শিক্ষিত মহল ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে। এ ছাড়া ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ফলে পূর্ব বাংলার মানুষ হতাশ হয়। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাশের আহ্বান জানান। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এ বিলে সম্মতি দেন। এ আইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। এ আইনের বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি ছিলেন স্যার পি জে হার্টস। প্রথম মুসলমান, বাঙালি ও উপমহাদেশের প্রথম ভিসি স্যার এ এফ রহমান। বর্তমানে ২৭তম ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারসি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ান, গণিত এবং আইন।
প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭। শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ (ইংরেজি বিভাগ, এমএ-১৯২৩)।
যে সব প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন তারা হলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ সি টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জি এইচ ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ এ জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, স্যার এ এফ রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও ভারত বিভক্তি আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্তির পর তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকা শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫টি কলেজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৭-৭১ সালের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ শহীদ হয়েছেন বহুজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহ:
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি অনুষদ রয়েছে। ১৩টি অনুষদ হলো------
- · কলা অনুষদ,
- · জীববিজ্ঞান অনুষদ,
- · বাণিজ্য অনুষদ,
- · পরিবেশবিজ্ঞান অনুষদ,
- · শিক্ষা অনুষদ,
- · প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ,
- · চারুকলা অনুষদ,
- · আইন অনুষদ,
- · চিকিৎসা বিদ্যা অনুষদ,
- · পিজিএমআর অনুষদ,
- · ফার্মেসি অনুষদ,
- · বিজ্ঞান এবং
- · সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
অনুষদ অনুযায়ী বিভাগসমূহ
অনুষদের নাম
|
বিভাগসমূহ
|
| বাংলা, ইংরেজি, ফারসি ও উর্দু, দর্শন, ইতিহাস, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, সংস্কৃত ও পালি, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা, ভাষা বিজ্ঞান, নাট্যকলা ও সঙ্গীত, বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব বিভাগ । |
| পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, রসায়ন, পরিসংখ্যান বিভাগ। |
| আইন বিভাগ |
| ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, মার্কেটিং, ফিন্যান্স, ব্যাংকিং, হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ। |
| অর্থনীতি বিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজবিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, নৃবিজ্ঞান, পপুলেশন সায়েন্সেস, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন, উইমেন্স স্টাডিজ ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। |
| মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, অণুজীব বিজ্ঞান, মৎস্যবিজ্ঞান, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ। |
| ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি, ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগ। |
| ভূগোল ও পরিবেশ এবং ভূতত্ত্ব বিভাগ। |
| ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিকস এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। |
| অঙ্কন ও চিত্রায়ন, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রিন্ট মেকিং, প্রাচ্যকলা, ভাস্কর্য, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প। |
| স্নাতকোত্তর চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুষদ, স্নাতকোত্তর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও গবেষণা অনুষদ। |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটসমূহ:
- · শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
- · আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
- · পরিসংখ্যান গবেষণা ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
- · ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট
- · খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
- · সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
- · স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট
- · তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট
- · ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র
- · বায়ো মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার
- · ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ
- · ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ
- · দেভ সেন্টার অব ফিলোসফিক্যাল রিসার্চ
- · বোস সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্স
- · সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সায়েন্স
- · সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন হিউম্যানিটিজ
- · উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
- · সেন্টার ফর ডিজাস্টার রিসার্চ
- · ট্রেনিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সাইন্স
- · সেন্টার ফর রিসার্চ ইন আর্কাইভ অ্যান্ড হিস্টরি
- · নজরুল রিসার্চ সেন্টার
- · নাজমুল করিম স্টাডিজ সেন্টার
- · সেমিকন্ডাক্টার টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার
- · সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ
- · নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা কেন্দ্র
- · ডেলটা স্টাডি সেন্টার
- · সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ ইন ফিজিক্যাল, কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস
- · সেন্টার ফর বায়ো-টেকনোলজি রিসার্চ
- · বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ
- · হিস্টরি রিসার্চ সেন্টার
- · বায়োটেকনোলজি রির্সাচ সেন্টার
- · ঢাকা ইউনির্ভাসিটি সাইবার সেন্টার
- · সেন্টার ফর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং
- · জাপান স্টাডিজ সেন্টার
- · সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ ইন আর্টস এন্ড সোস্যাল সায়েন্স (সিএআরএএসএস)
- · সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল স্টাডিজ
- · বাংলাদেশ কালচারাল রিসার্চ সেন্টার
- · ড. সিরাজুল হক ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার
- · সেন্টার ফর করর্পোরেট গর্ভরনেস অ্যান্ড ফাইনেন্স স্টাডিজ
টিএসসি চত্ত্বর
ছাত্র-শিক্ষক মিলন কেন্দ্র খ্যাত এই স্থাপনার স্থপতি কনস্টানটাইন ডক্সাইড। এই স্থানটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক ছাড়াও নগরের অনেক মানুষের মিলন কেন্দ্র। সাস্কৃতিক চর্চার এই স্থানটি বহু সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
ছাত্র-শিক্ষক মিলন কেন্দ্র খ্যাত এই স্থাপনার স্থপতি কনস্টানটাইন ডক্সাইড। এই স্থানটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক ছাড়াও নগরের অনেক মানুষের মিলন কেন্দ্র। সাস্কৃতিক চর্চার এই স্থানটি বহু সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
মধুর ক্যান্টিন
মধুসূদন দে-এর স্মৃতি স্মরণে স্থাপিত একটি বিখ্যাত রোস্তোরা যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ভবনের সামনে অবস্থিত। এটি ‘মধুর ক্যান্টিন’ নামে অধিক পরিচিত। ‘মধু দা’ ও ‘মধুর কেন্টিন’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য নাম।

বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ ডাকসুকে কেন্দ্র করেই। তবে সম্প্রতি এই ঐতিহ্যবাহী ডাকসু ভবনকে ভেঙে ১২ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে প্রাথমিকভাবে ৩ তলাবিশিষ্ট ভবন তৈরি করা হচ্ছে। অক্সফোর্ড ইউনিয়নের আদলে তৈরি করা হচ্ছে বহুতল নতুন ডাকসু ভবন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের স্মরণীয় করে রাখতে একটি স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন ডাকসু ভবনের প্রথম তলা ফাঁকা থাকবে। দ্বিতীয় তলায় থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, তৃতীয় তলায় থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিয়াম অর্থাৎ ডাকসু সংগ্রহশালা। এছাড়া থাকবে ডাকসুর জন্য অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, একাধিক সেমিনার কক্ষ, লাইব্রেরি, ডাকসু নেতাদের জন্য আলাদা কক্ষ।

অপরাজেয় বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত একটি ভাস্কর্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরণে নিবেদিত তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। এর স্থাপত্য শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। ভাস্কর্যটি তৈরির কাজ ১৯৭৩ সালে শুরু হয়ে ১৯৭৯ সালে শেষ হয়। ৬ ফুট বেদীর উপর নির্মিত এর উচ্চতা ১২ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য
প্রতিষ্ঠার পর প্রথম উপচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্যার পি জে হার্টগ। ১৯২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ২০০৯ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৭তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
প্রতিষ্ঠার পর প্রথম উপচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্যার পি জে হার্টগ। ১৯২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ২০০৯ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৭তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তথ্য সুত্র : অনলাইন ঢাকা.কম |